ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সংঘটিত ঘটনায় দায়েরকৃত তিন মামলায় আসামী ১ হাজার, গ্রেফতার ১৩

পেকুয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুলিশের উপর হামলা, পূজামন্ডপের গেইট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, সনাতন ধর্মের লোকদের বসতবাড়িতে ডুকে লুটপাট ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত তিন মামলায় নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতসহ ১ হাজার ৩১জনকে আসামী করা হয়েছে।

বুধবার (১৩অক্টোবর) রাতের ওই ঘটনায় পেকুয়া সদরে পুলিশ, মগনামা ও শিলখালীতে সনাতন ধর্মের দুইজন বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা রুজু হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ মগনামার মামলায় ৯জন, সদরের মামলায় ৩ জন আর শিলখালীর মামলায় ১জনকে গ্রেফতার করেছে।

গত বুধবার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর সোমবার এই পর্যন্ত পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া সদরের মামলায় উপ পরিদর্শক মোঃ খায়ের উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে অজ্ঞাত, মগনামার মামলায় জেলে পাড়ার নেপালী রানি বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত ও শিলখালীর মামলায় শীলপাড়ার জহর লাল বাদী হয়ে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা তিনটি করা হয়। তিন মামলায় পুলিশের উপর হামলা, পূজামন্ডপের গেইট পুড়িয়ে দেয়া, সনাতন ধর্মের লোকদের বসতভাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও সংঘবদ্ধ দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। ওই অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

থানা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ আলী সনাতন ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জানমাল রক্ষার্থে জোরালো অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সংঘবদ্ধ দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের হুকুমদাতা ও জড়িতদের ধরতে সব কিছু যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশের অব্যাহত অভিযানে ইতোমধ্যে জড়িতরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে তাদের ধরতে সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে।

পেকুয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ আলী বলেন, তিন মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেকুয়ার পরিবেশ শান্ত রাখতে ঘটনায় যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত: